bangla music

bangla music

জাতীয়

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত দুটোই কমেছে

দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৮৪৭ জন। একই সঙ্গে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ২৯৪ জন। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৮৫৭ জন। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাড়ে ৮ হাজার ৫৯৫ জন মানুষ। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৭২ হাজার ৪৩১ জন। এর আগে গতকাল (বুধবার) ৭ হাজার ৫৩৫ জনের মৃত্যু এবং ৪ লাখ ২৬ হাজার ৯১ জন রোগী শনাক্ত হয়।

ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনায় এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৪৯ লাখ ৮৭ হাজার ৭৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ কোটি ৫৭ লাখ ৬৮ হাজার ৮০২ জন।এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫ হাজার ১১৩ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ৫৮২ জন।

করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৬৫ লাখ ৮৬ হাজার ১৮৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭ লাখ ৬১ হাজার ৮৩৯ জন মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্যে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৯৪১ জন এবং মারা গেছেন ২০৭ জন। মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮৮ লাখ ৯৭ হাজার ১৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪০ হাজার ৪১ জন মারা গেছেন

রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১ হাজার ১২৩ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৮২ জন। ব্রাজিলে মারা গেছেন ৪৩৩ জন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ১৭ হাজার ১৮৪ জন। ভারতে মৃত্যু হয়েছেন ৭৩৪ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৩৪২ জন। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে ১৯৭ জন, তুরস্কে ২১০ জন, ইউক্রেনে ৬৯২, মেক্সিকোতে ৩৯২ এবং ফিলিপাইনে ২৭১ জন মারা গেছেন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।