ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের ৪ নম্বর নিয়ামতপুর ইউপি নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে মুখোমুখি মা-মেয়ে। ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর মিলে সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সদস্যপদে মা হুরজান বেগম (৬০) আর মেয়ে আজিজা বেগম (৩৮) মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। মা-মেয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। মা-মেয়ে একই পদের প্রার্থী হলেও কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। অথচ গত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্যপদে মাকে জয়ী করতে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন মেয়ে।





ফলাফলও এসেছিল নিজেদের পক্ষে। তবে এবার একই পদে নির্বাচনে মায়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন মেয়েও।নির্বাচন নিয়ে মেয়ে আজিজার বেগম ইতি বলেন, গত নির্বাচনের পর মাকে বলেছিলাম পরবর্তীতে (এবার) আমি প্রার্থী হব। তখন মা বলেছিল সময় আসলে দেখা যাবে। কিন্তু ২৭ অক্টোবর মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে আমার মা মাস্তান ভাড়া করে বাধা দেয়।





পরে পুলিশের সহযোগিতায় মনোনয়নপত্র জমা দেই। আমি এবার নির্বাচন করবোই।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমার মার ভোটের মাঠে অবস্থান ভালো নেই। তবুও সে নির্বাচন করছে।’ এ বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মা হুরজান বেগম বলেন, ‘আমি বর্তমানে ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। রাতদিন সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি।





আমার ওয়ার্ডের ভোটাররা আমাকে সমর্থন দিয়েছে তাই আবারো ভোটে নেমেছি।তিনি আরও বলেন, বহু কষ্টে ছেলে ও মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়েছি। এখন মেয়েই বিপক্ষে প্রার্থী হয়েছে। আত্মীয় স্বজনরা বহুবার বুঝালেও মেয়ে কারও কথা শুনছে না। সেও ভোট ভিক্ষায় নেমে গেছে। আমি মেয়েকে সাফ জানিয়েছি, আমি ভোটের জন্য প্রস্তুত।





সে কারণেই আমি গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছি।’ হুরজান বলেন, একটি মহল ইউনিয়নে তার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে মেয়েকে ইন্ধন দিয়ে প্রার্থী করেছেন, যা মেয়ের বোঝা উচিত।কালীগঞ্জ উপজেলায় ১১টি ইউনিয়ন রয়েছে। এখানে তৃতীয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২ নভেম্বর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ, আর প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১১ নভেম্বর। ভোট গ্রহণ করা হবে ২৮ নভেম্বর।




