নেত্রকোনার মদনে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে তাপস বিশ্বাস (২৮) নামের এক যুবকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন এক তরুণী (২১)।সোমবার (১ নভেম্বর) সকাল থেকে উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের শিবাশ্রম গ্রামে অনশনে বসেন তিনি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তাপস বিশ্বাসকে আটক করেছে পুলিশ।





খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাপস বিশ্বাস গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় কাঁচামালের ব্যবসা করায় দীর্ঘদিন সেখানে বসবাস করছেন। প্রায় তিন বছর আগে সেখানের একটি কারখানার পোশাক শ্রমিকের সঙ্গে ধর্মীয় পরিচয় গোপন রেখে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন তাপস। এক পর্যায়ে কাজি ডেকে কালেমা পড়ে বিয়ে করেন দুজন। পরে গাজীপুর এলাকায় দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। তিন বছর তারা একসঙ্গে বসবাসও করেন।





প্রায় চার মাস আগে ওই তরুণীর জমানো টাকা-পয়সা নিয়ে পালিয়ে নিজ বাড়ি মদন উপজেলায় চলে আসেন তাপস বিশ্বাস। এসব ঘটনা গোপন রেখে এক মাস আগে দুর্গাপুর উপজেলায় আরেকটি বিয়ে করেন। জানতে পেরে ওই তরুণী ১০ অক্টোবর তাপস বিশ্বাসের বাড়িতে আসেন।





ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তাপস ও তার পরিবারের লোকজন তরুণীকে পাগল বলে মদন থানায় পাঠায়। পরে পুলিশ ওই তরুণীকে তার পরিবারের জিম্মায় দেয়। তাপস ওই তরুণীকে নিয়ে সংসার করার আশ্বাস দেন। পরে তা অস্বীকার করায় স্ত্রীর দাবিতে অনশন করেন। সোমবার বিকেলে তাপসকে আটক করে মদন থানা পুলিশ।





ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সত্যতা স্বীকার করে তাপস বিশ্বাস বলেন, ‘আমি তাকে কাবিন করে বিয়ে করিনি।’এ ব্যাপারে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, সোমবার বিকেলে তাপস বিশ্বাসকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। একই সঙ্গে তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




