চুয়াডাঙ্গায় প্রেমিকের কথা বিশ্বাস করে ঘর ছেড়ে আসেন এক প্রেমিক। সাথে নিয়ে আসেন নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার। কিন্তু বিয়ের বাজারের কথা বলে সেই টাকা, স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যান প্রেমিক নয়ন (৩০)! লোকলজ্জার ভয়ে তাই ট্রেনে আত্মহ`ত্যার চেষ্টা করেন প্রেমিকা। ট্রেনের ধাক্কায় গু`রুতর আ`হত হয়ে ০৯ দিন মৃ`ত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে এখন কিছুটা সুস্থ।





আর পুলিশের হাতে গ্রে`ফতার হয়ে কারাগারে নয়ন। গতককল গভীর রাতে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা থানাধীন জয়রামপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রে`ফতার করা হয়।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নয়ন একটি ভোগ্যপণ্য বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের বিপণন কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরি করেন। চাকুরির সূত্রেই পরিচিত হন মুদি দোকানদার কাকলির সাথে।





এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। নয়ন কাকলিকে বিয়ে করবে বলে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসতে বলেন এবং সাথে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারও নিয়ে আসতে বলেন। প্রেমিকের কথানুযায়ী বাড়ি থেকে পালিয়ে আসেন কাকলি।এরপর প্রেমিক বিয়ের বাজার করার নাম দিয়ে সেই টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যান! এ ঘটনায় ভেঙে পড়েন কাকলি এবং ট্রেনের নিচে আত্মহ`ত্যার চেষ্টা করেন।





কিন্তু ট্রেন তাকে ধাক্কা দিয়ে চলে গেলে তিনি গুরুতর আ`ঘাত পান। ০৯ দিন তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে সুস্থ হন। পরে প্রেমিকার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতারক প্রেমিককে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি প্রতারণার কথা স্বীকার করেন। তার কাছ থেকে স্বর্ণ ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘নয়ন ও আত্মহ`ত্যার শিকার দুইজনই বিবাহিত।





তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমিকের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে মেয়েটি তার বাড়ি থেকে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে আসেন। কিন্তু প্রেমিক সেই টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যান। এতে রা`গে ক্ষোভে ও সামাজিক মর্যাদাহানির ভয়ে ট্রেনে আত্মহ`ত্যার চেষ্টা করেন সে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে ০৯ দিন চিকিৎসাধীন থেকে সুস্থ হয়ে থানায় অ`ভিযোগ করলে প্র`তারক প্রেমিক নয়নকে গ্রে`ফতার করা হয়।’




