ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর দূর্গম চরাঞ্চল আলোকবালীতে ফের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আলোকবালী উত্তর পাড়ায় পুনরায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয় দুই ইউপি মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।এদিকে দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনার একদিন পেরিয়ে গেলেও থানায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি।





এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। চরাঞ্চলগুলোতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের মজুদ থাকলেও এসব উদ্ধার করতে ব্যার্থ হয়েছে পুলিশ। এমনকি হত্যাকাণ্ডে ব্যাবহৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদও উদ্ধার হয়নি।নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) হারুনুর রশিদ বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনো মামলা দায়ের করেনি। এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।উল্লেখ্য, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে





কেন্দ্র করে আলোকবালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপুর সমর্থক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহর দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই মধ্যে ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু। নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুল্লাহ আসাদ।দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আসাদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন।





এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ আরও তীব্র হয়। পরে দলীয় নেতাকর্মীদের চাপে আসাদুল্লাহ মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এ নিয়ে আসাদুল্লাহর সমর্থকদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই জেরে বৃহস্পতিবার সকালে আসাদুল্লাহর সমর্থকরা সকালে টেঁটা বল্লম ও অস্ত্র নিয়ে নেকজানপুর গ্রামে দীপু চেয়ারম্যানের সমর্থক আবু খার





বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নেকজানপুর গ্রামের আমির হোসেন (৪৫), একই গ্রামের আশরাফুল (২২), খুশি বেগম (৫০) ও খাইরুল ইসলাম নিহত হন।ওই সময় ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। গুলিবিদ্ধ ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।




