বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মা ও ছেলে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন। চেয়ারম্যান পদে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ নিয়ে সরস আলোচনায় মেতে ওঠেছেন ইউনিয়নবাসী।দুই প্রার্থী হলেন- আনারস প্রতীক নিয়ে ছেলে জুলফিকার হাসান শাওন এবং ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মা খালেদা আক্তার। এদের মধ্যে ছেলে শাওন বিহার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
তবে মা খালেদা আক্তার জানিয়েছেন ছেলেকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখছেন না বরং সন্তানকে সহায়তা করার জন্য তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন।এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মা-ছেলের পাশাপাশি আরও দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত মহিদুল ইসলাম (নৌকা) এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী যুবলীগনেতা মতিউর রহমান মতিন (মোটর সাইকেল)।
জানা গেছে, শাওনের বাবা প্রয়াত শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন চাঁন ও তার চাচা (বড় আব্বা) আফজাল হোসেন বিহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তার চাচাতো বড় ভাই শরিফুল ইসলাম শরীফ দুদফা নির্বাচন করে পরাজিত হন। এবার সেই পরিবার থেকেই প্রার্থী হয়েছেন জুলফিকার হাসান শাওন।চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাসান শাওন জানিয়ছেন, বাবার সঙ্গে থেকে চেয়ারম্যান গিরি করতে দেখে ছোট থেকেই ইচ্ছা ছিল চেয়ারম্যান হবার। এজন্য অল্প বয়সেই প্রার্থী হয়েছি।
তিনি জানিয়েছেন, আমার মা চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য নির্বাচন করছেন না। তিনি (মা) সকল ধরণের প্রচার-প্রচারণা থেকে বিরত রয়েছেন। শুধুমাত্র ভোট কেন্দ্রে এজেন্ট বেশি রাখার জন্য আমরা এই কৌশল অবলম্বন করেছি।শাওনের মা খালেদা আক্তার জানিয়েছেন, আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি, কারণ আমার ছেলের যদি কোনো যাচাই-বাছায়ে সমস্যা হতো তাহলে আমি নির্বাচনে থাকতাম। কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ে ছেলের কোনো সমস্যা হয়নি।
কিন্তু তারপরে আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েই গেছি। আমি তো কোনো প্রচার-প্রচারণা করছি না। আমার ছেলের জন্য আমি কাজ করছি।শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, আগামী ১১ নভেম্বর শিবগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে উপজেলা ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ৫০ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৩৭ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৮২ জনসহ মোট ৫৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
