ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিয়ের আশ্বাসে এক গার্মেন্টকর্মী তরুণীকে ধ`র্ষণ ও গর্ভপাত ঘটানোর পর নতুন করে বিয়ের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বি`রুদ্ধে।নতুন বউ নিয়ে বাড়িতে গেলে হাজির হয় নি`র্যাতিতা তরুণী। ওই অবস্থায় নতুন বউকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার উচাখিলা





ইউনিয়নে ইশ্বরপুর গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে সেলিম মিয়া (২৪)। তিনি স্থানীয় একটি কলেজে অনার্সে পড়ার পাশাপাশি উচালিখা বাজারে টেলিকমের ব্যবসা করেন। উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের একটি গ্রামের দিনমজুরের মেয়েকে বিয়ে আশ্বাস দিয়ে গত ১৫ মাস আগে সম্পর্কে জড়ান সেলিম। এরপর বিভিন্ন স্থানে মেয়েটিকে ধ`র্ষ`ণ করা





হয়। এতে অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়লে গত শুক্রবার গর্ভপাত ঘটানো হয়।আগামী জানুয়ারিতে মেয়েটিকে বিয়ের আশ্বাস দিয়েছিল সেলিম। কিন্তু গত সোমবার সেলিম বিয়ে করেন উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের সাখুয়া মাঝেরচর গ্রামের উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া মেয়েকে। সেলিম বিয়ে করছে এমন খবরে বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয় তরুণী।





একদিকে বিয়ের দাবিতে তরুণী অবস্থন নেয়, অপরদিকে আড়িতে আনা হয় নববধূকে। ওই অবস্থায় স্থানীয় ভাবে সালিশ বসে নববধূকে তার পরিবারের লোকজন ফিরিয়ে নিয়ে যান। ৫ দিনের সময় দিয়ে সালিশ স্থগিত করেন সালিশকারীরা। কিন্তু নির্যাতিতা তরুণী বিয়ের দাবি জানালেও সটকে যেতে চাইছে সেলিম।





তরুণী জানায়, জানুয়ারিতে তাকে বিয়ে করার কথা ছিলো। সেই বলে তার তার গর্ভের ৫ মাসের সন্তানকে নষ্ট করেছে। তিনি সুষ্ঠু বিচার চান। অভিযুক্ত সেলিমকে এলাকায় গিয়ে পাওয়া যায়নি। তার বাবা আবদুস সাত্তার বলেন, ছেলে এমনটি করবে বিশ্বাস হচ্ছে না।ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. আবদুল কাদের মিয়া বলেন, তরুণীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




