ফরিদপুরে বাড়ির সামনে থেকে এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণ`ধ`র্ষণ করেছে তিন বন্ধু। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন বন্ধুকে গ্রে`ফতার করেছে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ।পরে তাদের মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য





জানিয়েছেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জামাল পাশা।গ্রেফতার তিন বন্ধু হলেন, ফরিদপুর সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নের আইজুদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা অটোচালক আকাশ শেখ, একই গ্রামের রাজমিস্ত্রির সহযোগী রণি শেখ ও নর্থ চ্যানেল পূর্বডাঙ্গী গ্রামের ট্রলিচালক শিপন শেখ।লিখিত বক্তব্যে পুলিশ জানায়, গত রোববার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে ফরিদপুর সদরে চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের আছিরউদ্দিন মুন্সীর ডাঙ্গীর নিকলী হাওড়স্থ





জনৈক ইদ্রিস শেখের রসুনক্ষেতে গণধ`র্ষ`ণের ঘটনা ঘটে। এর আগে ওই কি`শোরী রাত ১০টার দিকে প্র`কৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির বাইরে এলে পাশের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের একটি গ্রাম থেকে ধ`র্ষ`করা তাকে মুখ চেপে ধরে একটি ইজিবাইকে অ`পহরণ করে নিয়ে যায়। পরে পা`লাক্রমে ধ`র্ষ`ণ শেষে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই তরুণীকে একটি ফাঁকা মাঠে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে যায়।





খোঁজ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে রাতেই ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই কিশোরী বর্তমানে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন।ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ফরিদপুর সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায়। পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে।





ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি এম এ জলিল বলেন, প্রযুক্তির সহায়তায় ধ`র্ষ`ণ মা`মলার এজাহারনামীয় আসামি আকাশ শেখকে গতকাল সোমবার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ৫৫ মিনিটে ফরিদপুর সদরের টেপাখোলা বেড়িবাঁধ এলাকায় অবস্থিত মিলন পালের ইটের ভাটার পেছন থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী রাত আড়াইটার দিকে রনিকে এবং রাত ৩টার দিকে শিপনকে গ্রে`ফতার করা হয়।এ মা`মলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার এসআই আবুল খায়ের বলেন, এ ব্যাপারে ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে গতকাল সোমবার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে আকাশসহ অজ্ঞাতনামা চার/পাঁচ জনকে আসামি করে মা`মলা করেছেন।




