bangla music

bangla music

জাতীয়

প্রকাশ্যে নৌকায় সিলে বাধা, সাংবাদিকের ওপর হামলা

ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে প্রকাশ্যে সিল মারতে বাধা দেয়ায় আওয়ামী লীগের সমর্থকরা এক সাংবাদিককে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার নগর ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নাটোরের ধানাইদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে একাত্তর টেলিভিশনের সংবাদকর্মী আবু মুসাকে মারধর করা হয়। এ সময় অন্য সাংবাদিকদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

এছাড়া একই ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নৌকার সমর্থক ৩ জন আহত হয়েছেন।অভিযোগের বিষয়ে জানতে পেরে নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ এবং পুলিশ সুপার লিটন কুমার ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় পুলিশ সুপার বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি, খোঁজ নিচ্ছি। অপরাধ করে থাকলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা বিষয়টি দেখছি।হামলার শিকার সাংবাদিক আবু মুসা জানান, বেলা ১১টার দিকে নগর ইউনিয়নের ধানাইদহ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণে অনিয়মের খবর পেয়ে সেখানে ছবি তুলতে যান তিনি ।\

আরও পড়ুন=চলতি বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন টলিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। এরপর বেহালা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটও পেয়ে যান। কিন্তু তৃণমূলের প্রার্থী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যান শ্রাবন্তী। এতে করে তার ভাগ্যে জোটে ‘অসম্মান’। কখনো বিরোধী দল, কখনো বা নিজের দলের কর্মীরা তাকে নিয়ে নানা কটু-মন্তব্য করেন। বিজেপির প্রবীণ নেতা তথাগত রায় প্রশ্ন তুলেছিলেন—কেন তাকে নির্বাচনের টিকিট দেওয়া হলো। সবকিছু মিলিয়ে বিষয়টি নিয়ে তখন জল ঘোলা কম হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) বিজেপি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রাবন্তী। শুধু তাই নয়, নির্বাচনে বিজেপির হয়ে যত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। দল ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার আগেই সেসব ছবিও মুছে ফেলেছেন তিনি। তবে এ বিষয়ে কড়া সমালোচনামূলক কোনো বক্তব্য এখনো দেয়নি বিজেপির নেতৃবৃন্দ। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন—‘শ্রাবন্তী স্বেচ্ছায় এসেছিলেন, আবার স্বেচ্ছায় চলে যাচ্ছেন। তার বিজেপি ত্যাগে দলের কোনো সমস্যা হবে না।’

দল থেকে এখনো কোনো নেতা শ্রাবন্তীর কড়া সমালোচনা না করলেও নেটিজেনরা বসে নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢুঁ মারলে তেমন দৃশ্যই চোখে পড়ে। অভিজিত বিশ্বাস লিখেছেন, ‘সুসময়ে আবার আসবেন, আপনার জন্য একটা টিকিট রেডি থাকবে।’ তাপস নামে একজন তার চারিত্র নিয়ে কটাক্ষ করে লিখেন, ‘যে বছর বছর স্বামী

বদলাতে পারে, সে দল বদলাবে এটেই স্বাভাবিক।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘উফফফ এক অসম্ভব সাংগঠনিক দক্ষতাসম্পন্ন নেত্রী যিনি বিজেপির একমাত্র আশা-ভরসা ছিল তিনি চলে যাচ্ছেন। বিজেপি একদম দিশেহারা হয়ে গেল। মোদিজিও আজকে রিজাইন করবেন। বিজেপির মাথা থেকে ছাতা সরে গেল।’