বাংলাদেশের নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ, তার অনবদ্য সৃষ্টি এখোনো যেন জীবিত রয়েছে মানুষের মাঝে এবং তার সাহিত্য এর মাধ্যমে তিনি জীবিত রয়েছেন মানুষের মাঝে গত শনিবার ছিল হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন। এ দিনটি ঘিরে মেহের আফরোজ শাওনের ব্যস্ততা ছিল অনেক দিন।যদিও প্রতি বছর এই দিনটিকে ঘিরে নানা পরিকল্লনা থাকে তার এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত এক্সিমব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে, তারপর দখিন হাওয়ায়। রাতে কেক কেটে হুমায়ূনের জন্মদিন পালনের সূচনা।





পরদিন প্রত্যুষে গাজীপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। নুহাশপল্লীতে প্রিয় মানুষের কবর জিয়ারত করেন। এদিন গাজীপুরের পিরুজালী এলাকায় নুহাশপল্লীতে নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৩তম জন্মদিন। মোমবাতি প্রজ্বালন, কবর জিয়ারত, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে লেখককে স্মরণ করছেন তাঁর পরিবার, স্বজন, নুহাশপল্লীর কর্মী ও ভক্তরা।





সারা দিনের শেষে রাতের দিকে শাওন একটু সময় পেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হুমায়ূনকে নিয়ে আবেগস্পর্শী পোস্ট দেন। মহাদেব সাহার একটি কবিতা লিখলেন, তারপর দুজনের ছবিসহ পোস্ট করলেন নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে। বহুদিন ভালোবাসাহীন বহুদিন উথাল পাথাল বহুদিন কারো হাত পড়েনি কপালে বহুদিন দু’চোখের অশ্রু কেউ মোছায়নি আর বহুদিন দূর দ্বীপে বহুদিন একা নির্বাসনে…





এই যে লোক… শুভ জন্মদিন…মহাদেব সাহার এই কবিতায় যেন নিজের কথা বলেছেন শাওন। কবিতার আবেগ, হাহাকার, একাকিত্ব এ যেন শাওন নিজের অন্তরালে থাকা অনুভূতিকেই প্রকাশ করলেন।লেখকের স্বপ্ন ধীরে ধীরে পূরণ হচ্ছে জানিয়ে গণমাধ্যমকে স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন বলেন, নতুন প্রজন্ম মহামারিকালে হুমায়ূন আহমেদের লেখা পাঠ করছে। তাঁর





লেখার ভেতরকার রস, বোধ ও মানবিকতার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে, এটা বিস্ময়কর।বরেণ্য কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ক্যান্সারে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।গত শনিবার ছিল হুমায়ুন আহমেদের জন্মদিন এবং এই দিনটিকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর হুমায়ুন আহমেদের ভক্ত অনুরাগীরা নানা আয়োজন করে থাকে এবং এই দিনটি তার স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন এর কাছেও গুরুত্বপুর্ন।




