কক্সবাজারের রামু উপজেলায় জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করে নৌকার প্রার্থী কামাল শামশুদ্দিন প্রিন্সকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা আবছার কামাল সিকদার।শনিবার বিকালে জোয়ারিয়ানালায় তার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ের মাঠে





আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভায় আবছার কামাল সিকদার এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সাম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী প্রকাশ্যে ভোট ডাকাতি ও প্রশাসনকে চাপপ্রয়োগ করে দেবর প্রিন্সকে জয়ী ঘোষণা করিয়েছেন।





মোটরসাইকেল প্রতীকে নির্বাচন করা আবছার কামাল সিকদার বলেন, ভোটের দিন ৬ কেন্দ্রের ফলাফল ভোট কেন্দ্রেই ঘোষণা করা হয়। এতে তিনি (আবছার) নৌকার প্রার্থী থেকে প্রায় আড়াই হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু তার ভোট ব্যাংক খ্যাত ৩টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা না করে ভোটের বাক্স রামু উপজেলা পরিষদে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সব কেন্দ্রের মেম্বার প্রার্থীদের ফলাফল সন্ধ্যা ৬টা-সাড়ে ৬টার দিকে ঘোষণা হলেও রাত ১০টার পর তাকেসহ তার এজেন্টদের একটি কক্ষে বন্দি রেখে নৌকার প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।





আবছার কামাল সিকদারের আরও অভিযোগ , কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী ভোট ডাকাতির নেতৃত্ব দিয়েছেন। আর ফলাফল পাল্টানোর ব্যবস্থা করেছেন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও প্রণয় চাকমা।আওয়ামী লীগ নেত্রী নাজনীন সরওয়ার কাবেরী রামু সদর আসনের এমপি সাইমুম





সরওয়ার কমল ও রামু উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজলের ছোটবোন। নৌকার প্রার্থী কামাল শামশুদিন প্রিন্স আওয়ামী লীগ নেত্রী কাবেরীর দেবর। আবছার কামাল ১, ২ ও ৬নং কেন্দ্রের ভোট পুনরায় গণনার দাবি জানিয়ে বলেন, পুনরায় গণনা না করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা





নেওয়া হবে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাজনীন সরওয়ার কাবেরী। তিনি বলেন, সবাই দেখেছে নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। এখন তিনি পরাজিত হওয়ার পর আমাকে এবং প্রশাসনকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছেন।একইভাবে অভিযোগ সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও প্রণয় চাকমা।




