নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামে ঊর্ধ্বগতি এবং জ্বালানির দাম ও যানবাহনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানুষকে জাগিয়ে তুলতে দেড় মাসব্যাপী কর্মসূচি নিয়েছে বিএনপি। গত বৃহস্পতিবার দলের যৌথসভায় এ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয়। আজ সোমবার (১৫ নভেম্বর) লিফলেট বিতরণের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু করবে দলটি। এদিন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় লিফলেট বিতরণ করা হবে।





ইউনিয়ন থেকে জেলা, মহানগর ও রাজধানীতে প্রাথমিক পর্যায়ে ছয় কোটি লিফলেট বিতরণ করবে বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। পর্যায়ক্রমে একই ইস্যুতে আরও কর্মসূচি করার চিন্তা করছে দলটি। এ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমান সরকার নিজেদের লোকজনের পকেট ভারি, ব্যবসা বৃদ্ধি, বাড়তি মুনাফার জন্য কেরোসিন, ডিজেল, এলপি গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। এসবের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আরও বেড়েছে। মানুষ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে আগে থেকে হিমশিম অবস্থায় ছিল। সাধারণ মানুষের ওপর এ নির্যাতন আরও বাড়িয়ে দেওয়া হলো। সরকারের এসব গণবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিএনপির কর্মসূচি চলছে। আরও কর্মসূচি দেওয়া হবে।





এর আগে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে গত মাস থেকে ২০ দিন ধরে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি করছে বিএনপি ও তার অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠন। দলীয় সূত্রে জানা যায়, জনসম্পৃক্ত এসব কর্মসূচি করে কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের ভূমিকা, সক্ষমতা এবং সাংগঠনিক শক্তিসহ নানা দিক বিচার করতে চায় দলটির নীতিনির্ধারকরা।





নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত যৌথ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী-১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ৫ দিন সারা দেশে লিফলেট বিতরণ করবে বিএনপি। এছাড়া ২৪ নভেম্বর থেকে তিন দিন যুবদল, ২৬ নভেম্বর থেকে তিন দিন কৃষক দল, ২৯ নভেম্বর থেকে তিন দিন স্বেচ্ছাসেবক দল, ৩ ডিসেম্বর থেকে তিন দিন ছাত্রদল, ৫ ডিসেম্বর থেকে তিন দিন মুক্তিযোদ্ধা দল,





৮ ডিসেম্বর থেকে তিন দিন ওলামা দল, ১১ ডিসেম্বর থেকে তিন দিন মৎস্যজীবী দল, ১৭ ডিসেম্বর থেকে তিন দিন জাসাস, ২০ ডিসেম্বর থেকে তিন দিন তাঁতী দল, ২৩ ডিসেম্বর থেকে তিন দিন মহিলা দল ও ২৬ ডিসেম্বর থেকে তিন দিন শ্রমিক দল সারা দেশে লিফলেট বিতরণ করবে। বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করে সরকারবিরোধী আন্দোলনকে তীব্র থেকে তীব্রতর করা হবে।




