bangla music

bangla music

জাতীয়

খুললো রহস্যের জট, বেরিয়ে এলো প্রেমিকাকে পিটিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য!

এতদিন নানা রহস্যের মধ্যে প্রায় চাপা পড়েছিলো নদীতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া লিপা আক্তার নিপা নামের এক যুবতীর মৃতদেহ নিয়ে চাঞ্চল্যকর সেই ঘটনা।তবে মামলা নিয়ে সজাগ ছিলেন পুলিশ। অবশেষে প্রায় দেড় বছর আগে নরসিংদী সদর থানা এলাকায় চাঞ্চল্যকর লিপা আক্তার নিপা হত্যা ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, সুজন মিয়া ও জহিরুল ইসলাম। গত বুধবার দুজনকে গ্রেপ্তার করে এ ঘটনার আসল রহস্য জানা যায়।বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে গ্রেফতারকৃতদের জবানবন্দী ও স্বীকারোক্তির উধৃতি দিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন পিবিআই নরসিংদী জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. এনায়েত হোসেন মান্নান।

এসপি মো. এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, ২০২০ সালের ২৬ এপ্রিল নরসিংদীর সদর থানা এলাকায় মেঘনা নদীতে ভাসমান অজ্ঞাতনামা এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। পরে ফেসবুকে ছবি দেখে পুলিশের সহায়তায় পরিবার নিশ্চিত হয় মরদেহটি লিপা আক্তার নিপার। অজ্ঞাতনামা হিসেবে মরদেহ দাফনের পর নরসিংদী সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২০ সালের ২৪ এপ্রিল রাতে বিয়ের কথা বলে নিপাকে ঘর থেকে নিয়ে যান তার প্রেমিক আমিরুল ইসলাম ও তার ঘনিষ্ঠরা। এরপর মেঘনা নদীর মাঝে নৌকায় নিপাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ভাসিয়ে দেয় তারা। আমিরুলসহ এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন মোট সাতজন।গ্রেপ্তার দুজনের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পিবিআই কর্মকর্তা বলেন, আমিরুলের সঙ্গে নিপার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু আমিরুলের বাবা তাদের সম্পর্ক মেনে নেননি। বরং নিপাকে অন্য একটি ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে ঘটকালি করেন আমিরুলের বাবা। বিয়ের পর নিপা এক বছর সংসার করেন। সেখানে তার একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।

পিবিআই সূত্র জানায়, এক সন্তান নিয়ে সুখের সংসারই ছিল নিপার। তবে সেই সুখ নষ্ট করেন আমিনুল। তার কারণে সংসার ভেঙে যায় নিপার। নিপা ফিরে আসেন বাবার বাড়ি। এরপর পুরনো প্রেমিক আমিনুল ইসলাম ওরফে আমিরুলের সঙ্গে আবার যোগাযোগ শুরু হয় নিপার। একপর্যায়ে নিপা গর্ভবতী হয়ে পড়েন। তখন আমিরুলকে বিয়ের জন্য চাপ দেন নিপা। আমিনুল নিপার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চিকিত্সকের কাছেও যান।

চিকিত্সক বলে দেন, সেটি সম্ভব না। একপর্যায়ে পরিবারের বাধার কারণে বিয়ে না করে সহযোগীদের নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন আমিরুল। সে অনুযায়ী গত বছরের ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যার পর নিপাকে বিয়ের কথা বলে নৌকায় করে মেঘনা নদীতে নিয়ে যান। মাঝ নদীতে নিয়ে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে এবং কাঠ দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে নিপার মৃত্যু নিশ্চিত করেন তারা।