bangla music

bangla music

জাতীয়

নেই কর্মীবাহিনী, স্ত্রীকে নিয়েই ভোটারের দ্বারে দ্বারে চেয়ারম্যান প্রার্থী

‘প্রিয় এলাকাবাসী, আসসালামু আলাইকুম ও আদাব। ভোট গরিব-দুঃখীর স্বর্গীয় আমানত, এটা টাকার বিনিময়ে খেয়ানত হয় না। আমি আবু বকর সিদ্দিক, চেয়ারম্যান প্রার্থী। আমার মার্কা মোটরসাইকেল। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট দিন।’হাতে হ্যান্ডমাইক নিয়ে গ্রামীণ সড়কে পায়ে হেঁটে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এভাবেই ভোট চাচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক। সঙ্গে নেই কোনও কর্মী-সমর্থক, নেই কোনও মোটরগাড়ির বহরও। ভোট যুদ্ধের প্রচারণায় তার একমাত্র সঙ্গী স্ত্রী বিজলি বেগম। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়েই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ছুটছেন তিনি। চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনি এলাকার পথঘাট।

আবু বকর সিদ্দিক কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙা ইউনিয়নের পশ্চিম ফুলমতি গ্রামের বাসিন্দা। ওই গ্রামের মৃত কপুর উদ্দিনের ছেলে তিনি। পেশায় এ পল্লী চিকিৎসক এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ২৮ নভেম্বর ওই ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনে আবু বকর সিদ্দিক ছাড়াও আরও চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তবে অন্য সবার মতো কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে চিরাচরিত প্রচারণার আয়োজন নেই তার। তবে তার ব্যতিক্রমী নির্বাচনি প্রচারণা ওই ইউনিয়নে চমক সৃষ্টির পাশাপাশি ভোটারদের মাঝে কৌতূহলেরও সৃষ্টি করেছে।ভোটাররা বলছেন, ব্যতিক্রমী প্রচারণার কারণে প্রার্থী হিসেবে আবু বকর সিদ্দিক আলোচনায় এসেছেন। ভোটের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি কী পরিমাণ ভোট পান সে দিকেও ভোটারদের আগ্রহ রয়েছে। তবে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে পায়ে হেঁটে দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা ভোটারদের মাঝে বেশ সহানুভূতির সৃষ্টি করছে।

প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘আমার টাকা-পয়সা নেই, নেই কর্মী-সমর্থক। এরপরও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আমি আমার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি ভোটারদের জানাচ্ছি, ভোট মানুষদের কাছে আমানত, এটা টাকার বিনিময়ে যেন খেয়ানত না হয়। আমার বিশ্বাস ভোটাররা আমাকে জয়যুক্ত করবেন।’নির্বাচনে জয়লাভ করলে ইউনিয়নবাসীর জন্য কী করবেন- জবাবে বলেন,

‘আমি নির্বাচনে বিজয়ী হলে আমার ২০ শতক জমিতে একটা ক্লিনিক দেবো, যাতে এলাকার গরিব মানুষ চিকিৎসাসেবা পায়। সেই সঙ্গে নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের পাশে থেকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবো। আমি সবার দোয়া ও সহযোগিতা চাই।’প্রচারণায় একমাত্র সঙ্গী স্ত্রী বিজলী বেগম বলেন, ‘প্রচারণায় কর্মীবাহিনী না থাকলেও শেষ পর্যন্ত আমি স্বামীর পাশে থাকবো।

ভোটারদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছি। সবাই ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। আমার বিশ্বাস, জনগণ আমার স্বামীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে। আমরা সবার দোয়া চাই।’আবু বকর সিদ্দিক কৃষি কাজের পাশাপাশি পল্লী চিকিৎসার কাজ করেন। তার দুই ছেলে। বড় ছেলের বয়স ৬ ও ছোট ছেলের ৩। তার প্রতিবন্ধী এক ভাই ও তালাকপ্রাপ্ত এক বোন রয়েছে। নির্বাচনি প্রচারণায় তাই স্ত্রীই একমাত্র সঙ্গী।