বর্তমানে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। তাকে যেভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে, তা মেনে নিতে পারেননি মুশফিক। তার বাবা মাহবুব হামিদ এ নিয়ে ছেলের সঙ্গে কথা বলেছেন। ছেলের বাদ পড়ার জন্য তার বাবা-মা নিজেদের দায়ী করছেন। ছেলের বাদ যাওয়ায় কষ্ট পেয়েছেন বাবা। আবার এর ইতিবাচক দিকও দেখছেন তিনি।এদিকে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন অবশ্য মুশফিককে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন।





কিন্তু মুশফিকের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি নির্বাচকরা। টের পেয়ে আগেই চট্টগ্রামে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন মুশফিক। সেখানে টেস্টের জন্য প্রস্তুতি নিতে চান তিনি।মুশফিক মনে করেন, তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আজ তার চট্টগ্রামে যাওয়ার কথা। তার বাবা মাহবুব হামিদ বলেন, ‘মুশফিকের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী আমি ও তার মা। বলবেন তো কেন? বিশ্বকাপের আগে সে জিম্বাবুয়ের পর অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে খেলে ভালো প্রস্তুতি নিতে চেয়েছিল। কিন্তু জিম্বাবুয়েতে থাকার সময় আমরা দুজন করোনা আক্রান্ত হই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ বাদ দিয়ে সে দেশে ফিরে আসে।’





তিনি বলেন, ‘ওই সিরিজে নুরুল হাসান সুযোগ পেয়ে কিছুটা ভালো করে। আবার জৈব সুরক্ষাবলয় ছেড়ে দেশে ফেরায় পরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে বায়োবাবল শর্তে খেলতে পারেনি সে। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাকে কিপিং থেকে বাইরে রাখা হয়। সে কিপিং করলে ব্যাটিং ভালো করতে পারে। সব মিলে তার ভালো হয়নি। বিশ্বকাপ নিয়ে আমিও হতাশ।





তার কাছে আরও ভালো কিছু আশা করেছিলাম। কিন্তু তার প্রস্তুতি আশানুরূপ হয়নি। সেটা আমাদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে।’এ সময় মুশফিককে নিয়ে তার বাবা বলেন, ‘এই সিরিজে বাদ যাওয়ায় তার হাতে সময় থাকছে। আশা করি, সে আরও ভালোভাবে দলে ফিরতে পারবে।’মুশফিক বলেছেন, টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে তাকে পরিষ্কার বার্তা দেওয়া উচিত।





কি পরিকল্পনা করা হচ্ছে তাকে নিয়ে তা জানানো উচিত।মুশফিক বলেন, ‘পারফরম্যান্স ওঠা-নামা করবে। একজন ক্রিকেটারকে অবশ্যই পারফরম্যান্স ও ফিটনেস দিয়ে বিচার করবেন। পরিষ্কার করে বললেই হতো যে, আমরা অন্যরকম চিন্তা করছি। এই সিরিজে না, সামনে যদি পারফর্ম করে আসতে পার, যেটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া আর কী। এ সব ব্যাপার পরিষ্কার করে বললে আমার ভালো লাগত এই ভেবে যে, তারা আমাকে এতটুকু হলেও সম্মান করেছে। যদি সামনের চারটি টেস্ট ম্যাচের (পাকিস্তান ও





নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে) কথাই সত্যি ভেবে থাকে, তাহলে বিশ্বকাপের আগেও বলতে পারত। আমি আরও ভালো প্রস্তুতি (টেস্টের জন্য) নিতে পারতাম।’তিনি বলেন, ‘আমাকে শুধু জিজ্ঞেস করা হয়েছিল আমি অ্যাভেইলেভেল কি না? আমি বলেছিলাম অবশ্যই। পরে দেখি আমাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। পেশাদার ক্রিকেটার হিসাবে ইতিবাচকভাবে নিতে হবে এসব।’




