একইসাথে সম্পর্ক চার বন্ধুর সাথে। পরে সবার সম্মতিতে বিয়ে হয় একজনের সাথে। বিয়ের পরও বাকি তিন বন্ধুর সাথে সম্পর্ক বজায় থাকে। এ নিয়ে শুরু হয় কলহ। পরে চার বন্ধু মিলে হত্যা করে সেই নারীকে।ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর সূত্রাপুরে। চারজনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রতিবন্ধী স্বামী ও পাঁচ বছর বয়সী সন্তানকে চাঁদপুরে রেখে ঢাকায় আসেন তানিয়া। পরিচয় হয় বাবু নামের এক ব্যক্তি ও তার তিন বন্ধুর সাথে। একই সাথে চার জনের সাথে সম্পর্কে জড়ান তানিয়া।





সবার সম্মতিতে তাদেরই একজন নয়ন বিয়ে করেন তানিয়াকে। কিন্তু বিয়ের পরও সবার সাথে সম্পর্ক ধরে রাখেন তানিয়া। এনিয়ে কলহ দেখা দিলে শুক্রবার চার বন্ধু মিলেই হত্যা করেন তানিয়াকে। চেষ্টা করেন গুমের।লালবাগের ডিসি জসীম উদ্দীন মোল্লা বলেন, ‘যেহেতু ৪ জনের সাথেই এই মেয়েটার সম্পর্ক। পরে যখন একজনের সাথে বিয়ে হয় তখন হয়তো পুরানো কথাগুলো নিয়ে একটা বাগবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। সেখান থেকেই হতে পারে হত্যাটা ঘটেছে।’





অজ্ঞাত পরিচয় নারী হিসেবে তানিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হলেও নাম পরিচয় বের করে হত্যায় জড়িত চারজনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।তিনি আরও বলেন, ‘নয়নসহ তার তিন বন্ধু মিলে হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে। একইসাথে মরদেহটি গুম করার চেষ্টা করা হয়েছে। এটা প্রাথমিকভাবে পরিষ্কার হয়েছে। এবং মামলা মূল রহস্য উদঘাটিত।’





এ বিষয়ে তানিয়ার বাবা টেলু দেওয়ান বলেন, ‘আমার মেয়ের সাথে যারা এমন করছে তাদের সবার ফাঁসি চাই। সবাইরে ধরে আইন যেন তাদের ফাঁসি দেয়। কি এমন দোষ করছে আমার মেয়ে। আমার মেয়ে কোন দোষ করে নাই। আমার মেয়েরে বহুত আঘাত করছে ওরা।’গ্রেপ্তার করা চার বন্ধুকে দুই দিন করে রিমান্ডে দিয়েছে আদালত।




