করোনা মহামারির মধ্যেই কূটনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আরব দেশ থেকে মালবাহী বিমানে করে ৩০ কেজি সোনা আনা হয় ভারতে। যার সেই সময়কার বাজারমূল্য ছিল ১৫ কোটি টাকার বেশি। এমন সোনা পাচারকাণ্ডের অভিযোগ দেশটির কেরালা রাজ্যের এর্নাকুলামের স্বপ্না সুরেশের বিরুদ্ধে।আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, পূর্ণ লকডাউনের মধ্যে





সোনা পাচারের অভিযোগ সামনে এলে সঙ্গীকে নিয়ে কেরালা থেকে বেঙ্গালুরুতে চলে যান স্বপ্না। সবকিছু বন্ধ থাকার পরেও কীভাবে এতটা পথ তারা পাড়ি দিয়েছেন, তা এখনো অজানা। বেমালুম উধাও হওয়া স্বপ্নাকে গত বছর ১১ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়।১৫ মাস পর অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশকে চলতি মাসের শুরুতে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দেয়া





হয়, তিনি কারাগার থেকে বেরিয়েছেনও। সেখানে নিজ জেলার বাইরে না যাওয়ার শর্ত থাকলেও গতকাল মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, তা বাড়িয়ে রাজ্যের রাজধানী পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি দেন স্থানীয় আদালত।বরাবর রহস্যে মোড়া ভাবমূর্তির করণে স্বপ্না সুরেশকে এতটা ছাড় দেয়ার খবর প্রকাশের পর শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এর ফলে তার





আবারো উধাও হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেই ঝুঁকি নিয়েছে প্রশাসন। যদিও স্বপ্না আদালত ও প্রশানকে ‘কোথাও উধাও’ না হওয়ার কথা দিয়েছেন।কেরালার রাজধানী তিরুঅনন্তপুরমে গিয়ে মাকে নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন স্বপ্না সুরেশ। দীর্ঘদিন আরবে কাটিয়ে ২০১৩ সালে হঠাৎ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে কেরালায় চলে আসেন তিনি। এরপর চোরা সিঁড়িপথে উচ্চমহলের অলিন্দে





ঢুকে ক্রমেই প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন, এয়ার ইন্ডিয়ান স্যাটসে চাকরিও পেয়ে যান স্বপ্না।পরবর্তীতে কেরালায় আমিরাতের দূতাবাসে চাকরি পেলেও ফৌজদারি মামলায় সেটি হারান স্বপ্না। রাজ্য সরকারের তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের ঘনিষ্ঠ শিবশঙ্করকে হাত করে চলছিলেন তিনি। এর মধ্যেই সোনা পাচারকাণ্ডে গ্রেপ্তার হন দুই সন্তানের মা স্বপ্না।




