গত কয়েকদিনে রাজধানী ঢাকা শহরে বেশ কয়েকজন মানুষ সড়ক দু’র্ঘটনায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছেন। এর মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী রয়েছে। তবে এরপরই নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে নামে ঢাকা শহরের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী। এই নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে কয়েকজন শিক্ষার্থীদের নিয়ে বেশ আলোচনা





শুরু হয়। এমনকি এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তিনি নাকি স্কুল ড্রেস পরে আন্দোলনে নামেন। ওই শিক্ষার্থীর নাম সোহাগী সামিয়া জান্নাতুল ফেরদৌস। আর এবার ওই শিক্ষার্থী গণামধ্যমের সামনে তার পরিচয় তুলে ধরেছেন।নিরাপদ সড়কের দাবিতে ও রাস্তায় চলমান অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। তারই





ধারাবাহিকতায় শনিবার (৩ নভেম্বর) সড়কে অব্যবস্থাপনার প্রতি লাল কার্ড দেখিয়েছেন গণপরিবহনে হাফ পাস চালু, নিরাপদ সড়কসহ নানা দাবিতে রাজধানীর রামপুরায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে সোহাগী সামিয়া জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক তরুণীকে নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে তাকে ছাত্রী নয় বলে দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সোহাগী একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী।





সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে যে চর্চা চলছে, তার পুরোটা ‘অপপ্রচার’ বলে দাবি করেন সোহাগী। তিনি বলেন, ‘আমি নাকি ছাত্রী না, আমি নাকি ৩০ বছরের একটি মহিলা। আমি নাকি স্কুল ড্রেস পরে শিক্ষার্থীদের উসকানি দিচ্ছি। প্রথমে বলতে চাই, আমাদের ছাত্ররা রোবট না। তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা আছে। দ্বিতীয়ত, আমি ৩০ বছরের মহিলা নই। আমার কাছে আইডি কার্ড আছে। আমি যে একজন ছাত্রী তার সব প্রমাণ আমি এখানে হাজির করেছি।’





নিজের রাজনৈতিক অবস্থানও পরিষ্কার করেন আন্দোলনকারী এই শিক্ষার্থী। বলেন, ‘আমি বুক ফুলিয়ে বলছি, আমি ২০১৭ সাল থেকে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট করি। আমি ঢাকা মহানগরের দপ্তর সম্পাদক। প্রশ্ন এখানে না, আমি এ দেশের একজন নাগরিক। আমার সংগঠন করবার অধিকার রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে এটা যে, আমি কোনো রাজনৈতিক ইস্যু এখানে টেনে এনেছি কি না। আমি শুরু থেকেই এই আন্দোলনে যুক্ত। আমার কোনো স্লোগান, আমার কোনো বক্তব্যে কোনো রাজনৈতিক ইস্যু আনিনি, সেটা সবাই জানে।’এ সময় সোগাহী নিজের পরিচয়পত্র তুলে ধরে বলেন, ‘আমি আমার আইডি কার্ড আপনাদের সামনে শো করছি। আমি খিলগাঁও মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি পরিক্ষার্থী।’




