ইকুয়েডরের মানাবি প্রদেশে আততায়ীর গুলিতে খুন হয়েছে এক যুবক। ব্যাপারটি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না খুন হওয়া যুবকের বন্ধুরা। বন্ধুকে হারিয়ে তারা পাগলপ্রায়। শেষকৃত্যানুষ্ঠানে নিয়ে যেতে তাই মৃত বন্ধুকেই তুলে নেয় মোটরসাইকেলে। খবর ডেইলি মেইলের। শনিবার ডেইলি মেইল জানিয়েছে, মানাবির পর্তোভিজো শহরেই বন্ধুদের সঙ্গে হাসি-আনন্দে দিনগুলো কাটছিল ২১ বছর বয়সী এরিক শেডেনোর।





কিন্তু এই হাসি-আনন্দ থেমে যায় গত সপ্তাহের শেষ দিনটিতে। সে সময় একটি শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু তার পথ আগলে দাঁড়ায় দুই আততায়ী। তাদের গুলিতেই অকালে প্রাণ হারান এরিক। সোশাল মিডিয়ায় প্রবল হই-হল্লা ফেলে দিয়েছে এই ঘটনা।ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, শেষযাত্রার জন্য প্রস্তুত একটি কাঠের কফিন থেকে এরিককে টেনে বের করে আনছেন তার বন্ধুরা। তারপর তারা তাকে একটি বাইকে নিয়ে তোলেন। বাইকটি চালাচ্ছিলেন এক বন্ধু।





আর মৃত এরিককে মাঝখানে বসিয়ে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে রেখেছিলেন আরেক বন্ধু। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, বন্ধুকে কফিন থেকে বের করে বাইকে তোলার ঘটনাটি আশপাশে দাঁড়িয়ে দেখছিল অসংখ্য মানুষ। বাইকটি যাত্রা শুরু করার পর পেছনে দাঁড়ানো অন্য বন্ধুদের হাত উঁচিয়ে উল্লাস করতেও দেখা গেছে।জানা গিয়েছে, ৭ জনের একটি দল বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন। একটি বাইকে তিনজন বসেছিলেন। তাদের মাঝে মরদেহ রাখা হয়েছিল। বলা হচ্ছে, তাঁরা বন্ধুর শেষ ইচ্ছা পূরণ করছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছেন, এমন ঘটনার কথা আগে তারা শোনেনি।





করোনা সংক্রমণের সময় এ ভাবে এক মরদেহ নিয়ে ঘুরে বেড়ানো নিয়ে বিভিন্ন রকমের কথা হচ্ছে। বিভিন্ন রকমের প্রতিক্রিয়াও পাওয়া যাচ্ছে। স্পেনিশ ভাষার পত্রিকা লা রিপাবলিকা জানিয়েছে, কবর দেয়ার সময় এরিকের কফিনে মদও ঢেলে দিয়েছেন তার বন্ধুরা। তারা দাবি করেছেন, এরিকের বাবা-মায়ের অনুমতি নিয়েই তাকে বাইকে চড়িয়ে শেষকৃত্যানুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এ ঘটনাটিকে ‘বিকৃত’ বলে আখ্যা দিয়েছে। তবে শেষকৃত্যানুষ্ঠান ব্যক্তিগত বিষয় হওয়ায় এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার কিংবা কোনো তদন্ত হয়নি।




