পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জের তিনটি হাওর উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে থাকছে না আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক। এতে করে দলের যে কেউ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। কিশোরগঞ্জ-৪ নির্বাচনী এলাকার এমপি ও রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড এ সিদ্ধান্ত নেয়।





কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, পঞ্চম ধাপে আগামী ৫ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার ৭টি ও অষ্টগ্রাম উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে ইটনা উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ হবে পরের ধাপে।





এ ইউনিয়নের এখনও নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়নি।এর মধ্যে মিঠামইন উপজেলায় গোপদিঘী, মিঠামইন সদর, ঘাগড়া, ঢাকী, কেওয়ারজোর, কাটখাল ও বৈরাটি, অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর, কাস্তুল, অষ্টগ্রাম সদর, বাংগালপাড়া, কলমা, আদমপুর, খয়েরপুর আব্দুল্লাপুর ও পূর্বঅষ্টগ্রাম এবং ইটনা উপজেলায় রায়টুটি, ধনপুর, মৃগা, ইটনা সদর, বড়িবাড়ী, বাদলা, এলংজুড়ি, জয়সিদ্ধি ও চৌগাংগা। তবে এ এলাকার নির্বাচনী তফসিল এখনও ঘোষণা হয়নি।





এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক জানান, গত শনিবার (৪ ডিসেম্বর) গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা গেছে, জেলার হাওর অধ্যুষিত এ তিনটি উপজেলা বরাবরই আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাটি। এখান থেকে ৬ বার এমপি নির্বাচিত হন বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ আসন থেকে পর পর তিন বার





এমপি নির্বাচিত হন বর্তমান এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।স্থানীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা জানান, দলের শক্ত ঘাটি হওয়ার পরও তৃণমূল নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকার পরও দলের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। এতে করে নিজেদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি হয়। বাড়ে স’হিং’সতা। ফলে প্রতীক না রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এতে যে কেউ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।





কিশোরগঞ্জ-৪ নির্বাচনী এলাকার এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক জানান, ১৯৭০ সাল থেকে এ আসনটি আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাটি। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও দুই একটি ছাড়া সব সময় আওয়ামী লীগ জয়ী হয়। তবে তৃণমূলের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকাই ভালো। এতে করে স’হিং’সতা এড়ানো যাবে।যে কেউ ইচ্ছে করলে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে। এসব বিবেচনায় আমার নির্বাচনী এলাকার তিনটি উপজেলার ২৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না দেওয়ার জন্য দলের সভাপতির কাছে অনুরোধ জানাই। সে প্রেক্ষিতে প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত হয়।




