বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত সুচিকিৎসা নিশ্চিতে দেশের নারী সমাজকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকজনও চায় বেগম জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিশ্চিত হোক। তার চিকিৎসা নিশ্চিতে এখন আর বক্তব্যে হবে না, অ্যাকশনে





যেতে হবে, ডাইরেক্ট অ্যাকশনে যেতে হবে।’সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির অনুসারী উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানদের আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে শামা ওবায়েদ এসব কথা বলেন।শামা ওবায়েদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া কেবল সাবেক প্রধানমন্ত্রী বা বিএনপির চেয়ারপারসনই নন,





তিনি স্বধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রতীক। তিনিই এ দেশে নারী শিক্ষা বিস্তার করেছেন। তিনিই নারী শিক্ষা অবৈতনিক করেছেন। তিনি এখন শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার মামলায় বন্দি। তার কারণেই তিনি উন্নত সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না।’খালেদা জিয়ার বিদেশে সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবিতে দেশের নারীদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান শামা।‘যখন বিএনপি, জিয়া পরিবার সমস্যায় পড়েছে, দলের তৃণমূল তখনই এগিয়ে এসেছে’ বলে মন্তব্য করেন শামা ওবায়েদ।সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও বক্তব্য রাখেন।





আরও পড়ুন= খালেদা জিয়ার নাতনী ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে নিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের করা মন্তব্যকে ‘হীন রাজনৈতিক দূরভিসন্ধিমুলক, নারী ও বর্ণবিদ্বেষী, বিকৃত’ বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেই সঙ্গে অবিলম্বে তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে বক্তব্য প্রত্যাহার করে জনসমক্ষে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।





দলের দফতর বিভাগ থেকে পাঠানো বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘অন্যথায় ভবিষ্যতে যথাসময়ে এর দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে বলেও তিনি (বিএনপির মহাসচিব) সুস্পষ্টভাবে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।’মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সরকারের তথ্য-প্রতিমন্ত্রীর একটি বিকৃত এবং শিষ্টাচার বহির্ভূত নারী ও বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের তীব্র ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি অবিলম্বে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বহনকারী একজন ব্যক্তির এ ধরনের ঘৃণ্য ও কুরুচিপূর্ণ আচরণের প্রতিকার দাবি করেছেন।’





বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি হিসেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী যে দুর্বলতার মানুষই হোক না কেন একজন জাতীয় পতাকাধারী ব্যক্তির এ ধরনের মনোবৈকল্য উৎসারিত বিকৃতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সমগ্র জাতিকে স্তম্ভিত করেছে।’খালেদা জিয়া বর্তমান সরকারের ‘প্রতিহিংসামুলক আচরণের শিকার হয়ে’ এখন পর্যন্ত বিদেশে ‘সুচিকিৎসার সুযোগ না পেয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছেন’ বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘ঠিক তেমন সময়ে তার পরিবারের একজন নারী সদস্য তথা পরিবারের বিভিন্ন জন সম্পর্কে এহেন অশ্লীল ঘৃণ্য অপপ্রচার ইতিমধ্যেই নারী নেতৃত্বসহ দেশের সচেতন সকল মহলের ঘৃণা কুড়িয়েছে।’




