সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল ছুটি নিয়ে বিদেশে গিয়ে গ্রেটার সিলেট ডেভেলপমেন্ট ফোরাম আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সরকার ও স্থানীয় সরকার বিভাগের বিরুদ্ধে জনহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সোমবার স্উথানীয় সরকার বিভাগের উপ সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়।





প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এ ধরনের জনহানিকর বক্তব্য স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩২ এর (খ) ও (ঘ) অনুযায়ী মেয়র পদ থেকে অপসারণযোগ্য অপরাধ। এ আদেশ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জারি করা হয়েছে এবং তা দ্রুত কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। পৌরসভার উপ নির্বচনে মেয়র পদে আ.লীগের বিদ্রোহী হয়ে নিড়াচন করেছিলেন তিনি। জয়লাভের পর পৌর আ.লীগের সভাপতির পদ হারান তিনি।





আরও পড়ুনঃআরিফিন শুভ অভিনীত সিনেমা ‘মিশন এক্সট্রিম’ গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে। এই প্রিমিয়ার শোয়ে সিনেমাটি দেখার আহ্বান জানানোর এক পর্যায়ে এই চিত্রনায়ক ৭১-কে ‘সেভেনটি ওয়ান’ এবং ৫২-কে ‘ফিফটি টু’ বলেন। একইসঙ্গে সিনেমাটি দেখাকে দেশপ্রেমের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। শুভর এমন বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর দ্রুত তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়গুলো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দিয়েছেন শুভ। তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে এই বার্তা দেন তিনি।





‘বঙ্গবন্ধু’ সিনেমার শুটিং চলাকালীন অফস্ক্রিনেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পোশাক (ঢোলা পায়জমা, পাঞ্জাবি) পরে থাকেন শুভ। এর কারণ ব্যাখ্যা করে শুভ বলেন, ‘‘যে চরিত্রে কাজ করছি সে চরিত্রটিতে বসবাস করার জন্য আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। এখানে আহামরি কোনো বিষয় নেই। ‘বঙ্গবন্ধু’র শুটিং যখন শুরু হয় তখন কেউ যদি আমাকে দেখে থাকেন, তাহলে দেখবেন আমি অফস্ক্রিনেও এ কাপড় পরে থাকতাম। তখন অবশ্য মাথায় কোনো কাপড় পরতাম না। পরে অবশ্য অনেকে আমার মাথায় কিছু না কিছু দেখেছেন। এর একটি কারণ আছে, সে কারণটি বলবো না, তাতে আমার অন্য সন্তানের ক্ষতি হবে, তার নাম ‘নূর’।’’





‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমার প্রিমিয়ারে মাথায় বঙ্গবন্ধু লেখা সবুজ ও সাদা রঙের একটি টুপি পরে হাজির হয়েছিলেন শুভ। এর কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এটি আমি পরে যেতে চাইনি। আমাদের ৭ মার্চের ভাষণের দৃশ্যায়ণ চলছিলো। সেখানে যারা ক্রাউডের (বক্তৃতা শুনতে আসা জনতা) অভিনয় করছিলেন তাদের অনেকের মাথায় এ টুপি (সবুজ-সাদা টুপিতে ‘বঙ্গবন্ধু’ লেখা) পরা ছিল। বিষয়টি ইন্টারেস্টিং লাগলো। আমার কাছে মনে হলো, গায়ের পোশাকের সাথে মাথায় অন্য কাপড় ভালো লাগবে না।





যে কারণে আমি এটি (বঙ্গবন্ধু লেখা টুপি) পরে চলে যাই।’’ ভিডিওতে ইংরেজিতে লেখা একটি চিত্রনাট্য দেখান শুভ। পাশাপাশি ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক দিন ধরে সেভেনটি ওয়ান, ফোরটি এইট, ফিফটি টু, থার্টি টু—ব্যাপারগুলো আমার সঙ্গে চলছে। একাত্তরকে সেভেনটি ওয়ান বলা যদি অপরাধ হয়, আমি ক্ষমা চাইছি। বায়ান্নকে ফিফটি টু বলাতে যদি অন্যায় হয়ে থাকে তাহলে আমি ক্ষমা চাইছি। কিন্তু বায়ান্নকে তেপান্ন তো বলিনি। বায়ান্নকে একান্ন তো বলিনি। একাত্তরকে তো তিয়াত্তর বলিনি। আমার জীবনে এ মুহূর্তে যে ঘটনাগুলো ঘটছে সেখান থেকে হয়তো সেভেনটি ওয়ান, ফিফটি টু বলেছি। কী অপরাধ করেছি? যদি অপরাধ হয়ে থাকে আমাকে ক্ষমা করবেন।’




