মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে নিজ মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সাড়ে ১২টায় পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে তিনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে পাঠান। বর্তমানে ডা. মুরাদ হাসান চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন।





ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেওয়ায় তাকে আজকের মধ্যে মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নির্দেশনার পর আজ পদত্যাগ করলেন তিনি।





পদত্যাগপত্রে ডা. মুরাদ হাসান লেখেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গত ১৯ মে ২০২১ তারিখের স্মারকমূলে আমাকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। আমি অদ্য ০৭.১২.২০২১ খ্রি. তারিখ হতে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব হতে ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক।’এর আগে, সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার পদত্যাগের বিষয়টি জানিয়েছিলেন।





তার সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ডা. মুরাদের বিষয়ে কথা হয়েছে এবং তিনি আগামীকালের মধ্যে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন। আমি আজ রাত ৮টায় প্রতিমন্ত্রী মুরাদকে বার্তাটি পৌঁছে দিই।’সম্প্রতি তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বিএনপি





চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান এবং তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে অসৌজন্যমূলক কথা বলেন। এছাড়া এর কিছু পরেই প্রতিমন্ত্রী মুরাদের একটি কথোপকথন ফাঁস হয়, যেখানে তিনি অশ্লীল ভাষায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য বলেন। ফোনে চিত্রনায়ক ইমনকে তিনি বলেন, ঘাড় ধরে যেন মাহিকে তার কাছে নিয়ে যান। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহলে ডা. মুরাদের শাস্তির দাবি ওঠে।




