bangla music

bangla music

জাতীয়

ডিবি অফিসে কেন গিয়েছিলেন,অবশেষে জানালেন ইমন

অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে কেন্দ্র করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের সঙ্গে অডিও প্রকাশ নিয়ে ভুল–বোঝাবুঝির অবসানের জন্য আইনি পরামর্শ নিতে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা মামনুন ইমন। তিনি জানান, অডিও প্রকাশের পর অসহায়ত্ব বোধ করছিলেন। চলচ্চিত্রের সহকর্মীরাও তাঁকে ভুল বুঝতে থাকেন। অথচ ইমনের দাবি, ফোনালাপ দু–তিনবার শুনলে বোঝা যাবে তিনি মন্ত্রীকে ওই পরিস্থিতিতে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এত কিছুর পরও যখন ভুল–বোঝাবুঝির অবসান হচ্ছিল

না, বাধ্য হয়ে আইনি পরামর্শ নিতে গতকাল সোমবার রাতে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি।গতকাল রাত আটটার দিকে ইমন ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে দেখা করেন। আজ মঙ্গলবার সকালে প্রথম আলোকে খবরটি নিশ্চিত করেন ইমন।গত রোববার রাতে ফেসবুকে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর একটি কল রেকর্ড ফাঁসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডিবি কার্যালয়ে যান ইমন। ডিবি অফিস তাঁকে তলব করেনি বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‌‘হারুন ভাই আমার পূর্ব

পরিচিত। তাঁর সঙ্গে এর আগে নানা সময়ে আমার দেখা ও কথা হয়েছে। গতকাল যখন মন্ত্রীর সঙ্গে কল রেকর্ড ফাঁস হয়, সারা দিন এ নিয়ে আমাকে কথা বলতে হয়েছে। আমি নিজের অবস্থান সবাইকে পরিস্কার করলেও, সহকর্মীরাই আমাকে ভুল বোঝেন। কেউ কেউ আবার আমাকে ইঙ্গিত করে ফেসবুকে পোস্টও দেন। এসব আমাকে খুবই বিব্রত করেছে, কষ্ট দিয়েছে। ফেসবুকে অনেকে আবার আমাকে নিয়ে নেতিবাচক নানা কথাবার্তা বলার চেষ্টা করেছেন। বিপর্যস্ত আমি, তাই হারুন ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে

রাতেই তাঁর অফিসে দেখা করতে যাই। আমার অবস্থান তাঁর কাছে পরিষ্কার করি। এরপর এসব বিষয়ে আমার কী করণীয়, সে ব্যাপারে পরামর্শও চাই। তিনিও আমাকে সেই পরামর্শ দিয়েছেন। এরপর চা খেয়ে আমি চলে আসি।’কথায় কথায় ইমন এও জানান, ‘এটা কিন্তু একদম পরিষ্কার, আমি এই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত নই। রাতে যখন মাহি একটি ভিডিওবার্তা দেয়, বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়। আমিও কিন্তু গতকাল সকাল থেকেই সবাইকে বলছি, একজন মন্ত্রী যখন আমাকে ফোন করে এসব

কথা বলছেন, আমি শুধু সামাল দিতে ওসব বলেছি। দ্যাটস ইট।’এদিকে গতকাল রাতে প্রথম আলোকে ইমন বলেন, মাহির সঙ্গে মুরাদ হাসান যে ভাষায় কথা বলেছেন, তা তিনি জানতেনই না। মন্ত্রী যখন বিভিন্ন সংস্থার নাম বলে মাহিকে ভয় দেখিয়েছিলেন, সেটি নিছক দুষ্টামি মনে করেছিলেন বলে জানান ইমন। তিনি বলেন, ‘তাই তো আমি মন্ত্রীকে বলেছি, এসব কিছু লাগবে না, আমি দেখছি। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কথা ভেবেই বলেছি কিন্তু। আমি বিষয়টাকে স্বাভাবিকভাবে নিয়ে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছি

শুধু। এরপর কিন্তু আমরা মিটিং করি, মন্ত্রীর ডাকে সেখানে যাইনি। মাহি বলল, বাসায় চলে যাব, আমিও বাসায় চলে গেছি।’ওই সময় মাহির সঙ্গে কী কথা হয়েছিল জানতে না পারলেও ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর তা জেনে অবাক ও বিব্রত হয়েছেন ইমন। বললেন, ‌‘আমি বিব্রত, আমার খুব খারাপ লাগছে। একজন সহকর্মীকে, একজন নারীকে—মন্ত্রীর এভাবে বলাটা দুঃখজনক। এ ধরনের কথা হবে বুঝতে পারলে, আমি তো ফোনই দিতাম না। একজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর কাছে আমাদের অনেক চাওয়া। আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অনেক কাজে তাঁদের দরকার হয়, কিন্তু এ ধরনের ভাষা তো আশা করি না।’