চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় রাজু বিশ্বাস (২৬) নামে এক যুবকের ম`রদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার নেহালপুর গ্রামের একটি বাঁশঝাড় থেকে তার ম`রদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। মৃত রাজু বিশ্বাস একই গ্রামের দাউদ বিশ্বাসের ছেলে।





মৃতের পরিবার জানায়, মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে একটি রুটি খেয়ে বাড়ি থেকে বের হন রাজু। রাতে বাড়ি না ফেরায় তাকে খোঁজাখুজি শুরু করেন পরিবারের অন্য সদস্যরা। বুধবার সকালে গ্রামের জলিল মাস্টারের বাঁশঝাড়ে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের কাছে খবর দেন স্থানীয়রা।





খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।দর্শনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানা গেছে। থানায় একটি অপমৃ`ত্যু মামলা হয়েছে।





আরও পড়ুনঃসম্প্রতি নানা বিতর্কিত মন্তব্য ও অডিও ফাঁসের পর ডা. মুরাদ হাসান উঠে আসেন ব্যাপক আলোচনায়। তবে আওয়ামী লীগের প্রতিমন্ত্রী হলেও এক সময় ডা. মুরাদ ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। এমনকি তিনি মাদকে আসক্ত ছিলেন বলেও জানা যায়। ময়মনসিংহের বিএনপি নেতৃবৃন্দ জানান, এক সময় মুরাদ ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। কলেজ ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক থাকা অবস্থায় ১৯৯৬ সালে তিনি যোগ দেন ছাত্রলীগে।





তৎকালীন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলের সভাপতি সাঈদ মেহেবুব উল কাদির জানান, এক সময় সে আমাদের সাথে মিছিল-মিটিং করেছে। সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিয়মিত অংশ নেওয়ার পরে সে কলেজ শাখার কমিটিতে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করে। তখন তারা আগ্রহ দেখে তাকে আমরা প্রচার সম্পাদক বানাই।





ডাক্তার মুরাদের সেই কমিটির অনুমোদন দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোতাহার হোসেন তালুকদার। তিনি মুরাদকে বরাবরই সুবিধাবাদী উল্লেখ করেন জানান, সে একজন পল্টিবাজ নেতা। এজন্য সে ছাত্রদল থেকে ছাত্রলীগে চলে যায়।





তৎকালীন ছাত্রদলের নেতা ও ময়মনসিংহ মহনগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ জানান, ময়মনসিংহের বাঘমারা এলাকায় কলেজের হোস্টেল ছিল। সেখানে তাকে অনেকবার মদ্যপ অবস্থায় অনেক পড়ে থাকতে দেখেছেন। উনি নিয়মিত ফেন্সিডিল সেবন করেন। এটা ওই এলাকার কারও অজানা না। যেখান থেকে তিনি





ফেন্সিডিল নিতেন সেখানে তাকে হাত-পা গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল টাকা দেয়নি বলেন । ডা. মুরাদের বাবা মতিউর রহমান তালুকদার ছিলেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। কথিত আছে ছেলে ছাত্রদলের রাজনীতি করেন বলে অনেক আক্ষেপ ছিল তার।




