দেশের কিংবদন্তি অভিনেত্রী আনোয়ারার স্বামী মহিতুল ইসলাম আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। আজ শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) ভোর ৩টা ১০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন আনোয়ারার মেয়ে অভিনেত্রী মুক্তি। তিনি জানান, আমার বাবা ভোর ৩-১০ মিনিটে মারা গেছেন।





বাবা নিজের অজান্তেও যদি কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকেন, তাহলে ওনাকে ক্ষমা করে দিয়েন। বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন মুক্তি।অভিনেত্রী আনোয়ারার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দিতে। মহিতুল ইসলাম ও আনোয়ারা দম্পতির এক সন্তান মুক্তি। দীর্ঘদিন ধরে মহিতুল ইসলাম ব্রেনের সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসার জন্য ৩০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন।





আরও পড়ুনঃসিরাজগঞ্জের তাড়াশে এক প্রবাসী হাতিতে চড়ে বিয়ে করতে গিয়ে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন। ২ হাজার ৫০০ বরযাত্রী নিয়ে হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করতে গেছেন মো. রতন প্রামানিক (২৫) নামে এক ইরাক প্রবাসী। গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে তাড়াশ পৌর এলাকার কোহিত মহল্লায় এই বিয়ের আয়োজন করা হয়। ব্যতিক্রমী এই আয়োজন দেখতে বিয়েবাড়িতে ভিড় করেন উৎসুক জনতা।





জানা যায়, মহল্লার বাসিন্দা তাড়াশ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মো. রব্বেল প্রামানিক। প্রায় বছর পঁচিশ আগে তার বড় ভাই মো. একদিল প্রামানিকের স্ত্রী সন্তান প্রসব করতে গিয়ে মারা যান। এ সময় রব্বেল প্রামানিক ও তার স্ত্রী কমেলা খাতুন মা হারা নবজাতক নিজেদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। ছেলেকে কোলে তুলে নিয়ে তার নাম রাখেন মো. রতন প্রামানিক।





পাশাপাশি পাড়া প্রতিবেশীদের সামনে ঘোষণা দেন, ছেলে বড় হলে তাকে হাতির পিঠে চড়িয়ে বিয়ে করাতে নিয়ে যাবেন এবং হাতির পিঠে করেই নতুন বউকে বাড়িতে নিয়ে আসবেন। পরবর্তীতে রতন জীবিকার তাগিদে ইরাক চলে যান। এরপর তিনি দীর্ঘদিন প্রবাসী হিসেবে কাজ করে সম্প্রতি দেশে ফিরে আসেন। পুরনো কথা অনুযায়ীই বৃহস্পতিবার তাকে ধুমধাম করে বিয়ে দেওয়া হয়।





বিয়ের পাত্রী একই উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের দিঘিসগুনা গ্রামের রইচ উদ্দিনের মেয়ে জোসনা খাতুন (২০)। সেই ২৫ বছর আগের দেওয়া ঘোষণা রাখতে ও সখ মেটাতে ছেলের বিয়েতে হাতি আনতে গত মঙ্গলবার বগুড়া গিয়ে ‘দি লায়ন বুলবুল সাকার্সে’র একটি হাতি দুই দিনে পনের হাজার টাকা চুক্তিতে কোহিত মহল্লার তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন বাবা রব্বেল প্রামানিক।





আর বিয়ে করতে হাতির পিঠে জামাই যাবে এ খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে বিয়ে বাড়িতে এলাকার উৎসুক লোকজন রাত থেকেই ভিড় জমাতে থাকেন।হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করতে আসা বর মো. রতন প্রামানিক বলেন, বাবা-মার শখ পূরণ করতে হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করতে এসেছি। একাধিক বরযাত্রী জানান, এ অঞ্চলে হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করার ঘটনাটি সচরাচর ঘটে না। তাই বিষয়টি উপভোগের ছিল।





বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো.আব্দুল আজিজ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুরসহ জাতীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।