বগুড়ার ধুনটে বিয়ের আশ্বাসে এক গৃহবধূকে (৪৫) আট বছর ধরে ধ`র্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে ভুক্তভোগীর প্রতিবেশী সানোয়ার হোসেনকে (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকালে ওই গৃহবধূ সানোয়ারের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় মা`মলা করেন।





শুক্রবার আ`সামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।এজাহার সূত্র ও স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই গৃহবধূর স্বামী ঢাকায় থাকেন। তাদের সংসারে তিন ছেলে রয়েছে। এরমধ্যে একজন অন্ধ। স্বামী জীবিকার তাগিদে অন্য দুই ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় থাকেন। এ সুযোগে প্রতিবেশী দুই সন্তানের জনক সানোয়ার হোসেন গৃহবধূকে বিয়ের





আশ্বাস দেন। একপর্যায়ে রাজি হওয়ায় তিনি স্বামী ও সন্তানদের অগোচরে গত আট বছর ধরে তাকে ধ`র্ষণ করে আসছেন।ভুক্তভোগী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত বুধবার (৮ ডিসেম্বর) অন্ধ ছেলে বাড়িতে না থাকায় সানোয়ার ঘরে ঢুকে শা`রীরিক সম্পর্ক করতে চায়। বিয়ে করতে বললে অস্বীকৃতি জানায়। পরে ধ`র্ষ`ণ করে কৌশলে সটকে পড়ে।





পরে ভুক্তভোগী গ্রামের মাতবরদের কাছে নালিশ করে বিচার না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার বিকালে ধুনট থানায় মা`মলা করেন।ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, মা`মলাটি রেকর্ড ও বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আসামি সানোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীর শারীরিক পরীক্ষা ও অন্যান্য আইনি কার্যক্রম চলছে।





আরও পড়ুন=বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও গ্লোব বায়োঅ্যান্টেককে তিনটি ভ্যাকসিন উৎপাদনে সক্ষম কোম্পানি হিসেবে এরই মধ্যে তালিকাভুক্ত করেছে। এ তিনটি ভ্যাকসিন হলো, বর্তমানে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অপেক্ষমাণ ডি৬১৪জি ভ্যারিয়েন্ট মেসেঞ্জার আরএনএ, ডিএনএ প্লাজমিড ভ্যাকসিন এবং এডেনোভাইরাস টাইপ-৫ ভ্যাকসিন। অবশেষে ২৩ নভেম্বর, ২০২১ বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমারসি) শর্তসাপেক্ষে মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দেয়। তবে এ রকম ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এসেও বিশ্বের অনেক কোম্পানিই আল্টিমেট সফলতা পায়নি।এ ভ্যাকসিনটি ব্যতিক্রম এ দিক থেকে যে, এটিই পৃথিবীর প্রথম মেসেঞ্জার আর এন এ ভ্যাকসিন যার একটি ডোজেই প্রয়োজনীয় এন্টিবডি রেসপন্স পাওয়া যাচ্ছে।





আশা করছি, ২০২২ সালে জাতি নিজস্ব ভ্যাকসিন উৎপাদনের গর্বিত অংশীদার হবে।ফাইজার-বায়োঅ্যান্টেক : জার্মানি: তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মানির মুসলিম বিজ্ঞানী দম্পতি ওগোর শাহিন ও ওজলেম তুরেশি বায়োঅ্যান্টেক কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বায়োঅ্যান্টেক কোম্পানি বিশ্বের ভ্যাকসিন দৌড়ে প্রথম সারিতে রয়েছে। এটি মূলত টিউমার সেল ও ইমিউনোথেরাপির ওপর গবেষণা করত। পরে ২০১৮ সালে আমেরিকার ফাইজার কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে মেসেঞ্জার আরএনএভিত্তিক ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন তৈরিতে গবেষণায় মনোনিবেশ করে। কোভিড-১৯ শুরুর পর ২০২০ সালের মধ্য জানুয়ারিতে ‘প্রজেক্ট লাইট স্পিড’ নাম দিয়ে দ্রæত কোভিড ভ্যাকসিন আবিষ্কারে ব্রতী হয়। ফাইজার- বায়োঅ্যান্টেকের তৃতীয় ফেজের ট্রায়াল হয় ৪৬ হাজার ৩৩১ জনের ওপর ২৭ জুলাই, ২০২০ থেকে জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত। ১১ ডিসেম্বর, ২০২০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটির ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এই টিকা ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়।




