র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ বলেছেন, মানুষের অধিকার রক্ষা করাই র্যাবের প্রধান দায়িত্ব। এদিক দিয়ে র্যাব বড় মানবাধিকার কর্মী।নব র্যাব ও তার ছয় কর্মকর্তার ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ বিষয়ে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ যমুনা নিউজকে বলেন, আমরা কখনও মানবাধিকার লঙ্ঘন করি না। সব সময় মানবাধিকার রক্ষা করি।





তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে, খুন করে, ধর্ষণ করে, মাদক ব্যবসা চালায়, দেশ এবং জনগণের স্বার্থেই আমরা তাদের আইনের আওতায় আনি। অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা যদি মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়ে থাকে, তাহলে দেশের স্বার্থে এই মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে আমাদের আপত্তি নেই।উল্লেখ্য, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক ও বর্তমান ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ।





আরও পড়ুন=নিউ জিল্যান্ড থেকে পাঠানো ভিডিও বার্তায় জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, ‘কাল প্রথম যখন এখানে (নিউ জিল্যান্ড) এসে পৌঁছালাম তখন আমরা সবাই আমাদের রুমে যাই। এখনো কারো সঙ্গে দেখা হয়নি ভিডিও কল ছাড়া। দুই একজনের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা হয়েছে।’গতকাল শুক্রবার সকালে অকল্যান্ড হয়ে ক্রাইস্টচার্চে পৌঁছে বাংলাদেশ টেস্ট দল। এরপর সাতদিনের কোয়ারেন্টাইনে চলে যান কোচিং স্টাফ হতে শুরু করে ক্রিকেটাররা সকলে। এই সাতদিনের মধ্যে তিনদিন রয়েছে আইসোলেশন পর্ব; অর্থাৎ এই সময়ে নিজের রুমের গণ্ডি পেরিয়ে একে অপরের সঙ্গে কথা বলারও কোনো সুযোগ নেই।





বাংলাদেশ দলের এখন চলছে আইসোলেশন পর্ব। এরপর করোনাভাইরাস নেগেটিভের তিত্তিতে শিথিল হবে কোয়ারেন্টাইনের বাঁধা-ধরা নিয়ম। সাতদিন পর কোভিড নেগেটিভ সাপেক্ষে শুরু হবে দলীয় অনুশীলন। আইসোলেশনে থেকে সুজনের এই এক কথায় স্পষ্ট, দলের সদস্যরা একে অপরের কাছাকাছি থাকলেও দেখা করার, আড্ডা দেওয়ার সুযোগ নেই। ভিডিও কলই একমাত্র ভরসা। যেটিতে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন সুজনরা। যেন কাছে থেকেও কত দূরে।এ সময় সুজন বলেন, ‘আজকে আমাদের কোয়ারেন্টাইনের প্রথম দিন। ঘুম থেকে ওঠার পর নাশতার পরে ডাক্তার এবং দুই নার্স এসেছিলেন। আমাদের জ্বর (তাপমাত্রা) মাপার জন্য, খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য।‘





এদিকে করোনাকালীন এই সময়ে আইসোলেশন-কোয়ারেন্টাইন এসব এখন স্বাভাবিকই। তবুও চার দেয়ালে বন্দি থেকে হাঁপিয়ে ওঠেন ক্রিকেটাররা। এই মহামারীর মধ্যে বাংলাদেশ দলের এটি দ্বিতীয়বারের মতো নিউ জিল্যান্ড যাত্রা। এর আগে ১৪দিন কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন ক্রিকেটাররা। এবার সাতদিন। এরপর পুরোপুরি মুক্ত হবে দল। বায়োবাবলে থাকতে হবে না। তবুও বন্দিজীবনের এই সময়টাকে কঠিনই বলেন টিম ডিরেক্টর।




