দেশে চিনির দাম আবারও বেড়েছে। প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। চিনির এই নতুন দাম আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। চিনির এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কথা বলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স এসোসিয়েশন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চিনির মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দেয়। আর পরে রাজধানীর মতিঝিলে এমসিসিআই-এর একটি অনুষ্ঠান শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চিনির মূল্য বৃদ্ধি সঠিক সিদ্ধান্ত।




পর্যাপ্ত হিসাব নিকাশ করেই এটা করা হয়েছে।তিনি বলেন, চিনির দাম না বাড়ালে বাজারে চিনিই পাওয়া যাবে না। সার্বিক দিক বিবেচনা করে যে দাম হওয়া উচিত সেটাই নির্ধারণ করা হয়েছে। আবার যখন কমানো প্রয়োজন, তখন কমানো হবে।চিনির উৎপাদন সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে যে পরিমাণ চিনি উৎপাদন হয় তা মোট প্রয়োজনের ১ শতাংশ।




চিনির দামের ক্ষেত্রে এটা কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না। দেশে উৎপাদিত চিনির পরিমাণ ৫০ হাজার টন। আমাদের চিনির চাহিদা পূরণ করতে হয় আমদানি করে। গ্লোবাল মার্কেটে চিনির দাম বেড়েছে। এ জন্য সমস্যাটা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি ভ্যাট যেন কমিয়ে দেওয়া হয়। ভ্যাটের প্রভাব দামের ওপর পড়ে।তিনি আরো বলেন, জাহাজে যে পণ্য ছিল সেগুলো গত পরশু থেকে খালাস শুরু হয়েছে।




বাংলাদেশ ব্যাংক চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে এলসি খোলার নির্দেশ দিয়েছে। ব্যাংক তাদের আস্থার ভিত্তিতে পণ্য আমদানিতে এলসি খুলে থাকে। সেই জায়গা থেকে ব্যাংকগুলো বড় বড় প্রতিষ্ঠানের এলসি খুলছে। ছোট গ্রুপগুলোরও ব্যাংক টু গ্রাহকের আস্থার ভিত্তিতে এলসি খুলে থাকে। ব্যাংকগুলোতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রমজানের পণ্যের এলসি যেন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে খোলা হয়।



